Future of Visva Bharati University

There has been apparently conflicting news coming up regarding the future of Visva Bharati University.

One one side, there is the current vice Chancellor Bidyut Chakraborti, who reportedly stated that before he leaves (the university) steps would be taken to close it down.

On the other side, the central home minister Amit Shah has just announced details of their Bengal policy manifesto, which mentions effort to revive languishing Visva Bharati University.

Personally, I do not consider these two statements to be contradictory. In order to save Santiniketan from itself, the comatose institution needs to be operated upon, akin to an open heart surgery.

I had written a petter to the Prime Minister Narendra Modi in 2015 about my views, a copy of which is included here.

To: Sri Narendra Modi,
Prime Minister of India, Chancellor of Visva Bharati University
New Delhi
September 2nd, 2015


Subject : Visva Bharati University, Santiniketan, India

Honourable prime minister and chancellor of Visva Bharati University.

I an an India born and raised engineer and a citizen of Canada that has multi-generational link with Santiniketan. I was born there and I am an ex-student, and a life member of Santiniketan Asramit Sangha International (SASI) an NGO registered in the US.

My grand father was brought to Santiniketan more than a century ago by Rabindranath Tagore himself, to work on rural reconstruction and socio-economic development, seeking ways to cement caste-religion-ethnic harmony and cooperation among people of surrounding villages and self help work schemes to create firmer foundation for the nation over which a future India could erect its vistas and minarets. It is stated that Gandhi might have taken pointers from Santiniketan when creating his Asram in Gujarat .


I write this note to you with my observation that Visva Bharati today has been awash with people that do not share any of its original vision, do not contribute towards either creating a progressive society around the area or maintain a seat of learning of any calibre. The place is being used for all the wrong reasons, mainly for selfish job holders that cheat the tax payer and the nation by drawing a fat salary for doing nothing.  It is also awash in top to bottom corruption.

I believe the problems of Visva Bharati and Santiniketan may be rooted in a moral decay of the Bengali middle class itself, harsh though this might sound. Its think tank have lost its compass,  and has stopped being pathfinders for its people. This degradation started more or less with the end of Bengal’s golden age, in which Rabindranath Tagore may have been the last and among the brightest star.

It is my belief that the rot is so deep and wide that it would be near impossible to turn it around through any cosmetic facelift.

I would therefore request you to consider shutting down VBU for a decade or so, let everybody go home, protect the land and its property by the army, and take a decade before rebuilding it from scratch including creating a suitable constitution that could be a moral compass for Tagore’s views readjusted to the 21st century.

Harsh as this might sound, I feel it may be the only way one could preserve not just Tagore’s legacy, but in fact plant a fresh seed for a Bengal that has gone barren.


Thanking you
Santanu Mitra
10891 Cherry Lane, Delta, BC, V4E 3L7, Canada
email and phone.

Issues of Visva Bharati, Santiniketan, or vision of Tagore, unfortunately, are today on the sidelines of public dialog. Nobody cares any more, and Tagore’s world view has been on a steady decline for a long time. I believe the prime reason for this is that the Bengali diaspora, both local and international – never understood Tagore and were themselves incapable to absorbing Tagore beyond his songs and dances on a superficial meaningless way.

Therefore, since they themselves did not understand Rabindranath, they were ill-equipped to explain him to anybody else.

There are, however, a few marginal spaces on Facebook and elsewhere where a some people connected to Santiniketan and a notion of Tagore still hang around, and often parrot contemporary comments without too much substance. This is the general scene why Tagore does not generate any interest among outsiders. The discussions on Tagore are exceptionally stale, superficial and boring, instead of being groundbreaking, still universally relevant and dynamic.

I presented the following comment on one such platform, though I have no idea if it would be published, since not many actually have the stomach to digest criticism on themselves, while most are happy blaming the vice chancellor, whoever the unfortunate person at the time might be.

Tagore 1905

বিশ্বভারতীর ভবিষ্যত 

সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে দুরকম খবর শোনা যাচ্ছে দুই স্তরের মুখপাত্রদের থেকে।

একদিকে উপাচার্য বিদ্যুত বাবু নাকি বলেছেন যে তাঁর যাবার আগে তিনি বিশ্বভারতীকে বন্ধ করার ব্যবস্থা করে যাবেন।  অন্য দিকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত বাবু ভাজপা দলের পশ্চিম বঙ্গের যে পরিকল্পিত কার্যসূচী ঘোষণা করেছেন, তাতে বিশ্বভারতীর উল্লেখ আছে এবং শান্তিনিকেতনে নতুন প্রাণসঞ্চার করার কথা বলা আছে। ইঙ্গিত আছে বিশ্বভারতীর ব্যক্তিত্বে আন্তর্জাতিক প্রাসঙ্গিকতা আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টার।

আমি বিদ্যুত বাবুর ও অমিত বাবুর এই দুটি উক্তিকে পরস্পরবিরোধী মনে করছি না। আমার নিরপেক্ষ বিচারে বিশ্বভারতীর ভিতে ঘুন ধরেছিল রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবন থেকেই এবং তা রবীন্দ্রনাথ উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান যে বিশ্বজনীন স্বাধীনচিন্তাবিদদের নীড় থাকবেনা এবং একাধিক অন্তর্মুখী, অকর্মণ্য, স্বার্থপর গোষ্ঠিরা এখানে আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করবে – তা আশংকা করেছিলেন।

শান্তিনিকেতনের অবিচ্ছিন্ন পতনের গোড়ায় হয়তো বাঙালির রবীন্দ্রনাথকে বোঝার অক্ষমতা ছিল। তাদের সীমিত দৃষ্টিতে বিশ্বজনীন মানবতার অর্থোদ্ধার করা হয়তো তাদের সাধ্যাতীত ছিল, প্রদীপের তলার অন্ধকারের মত। কিন্তু জেনেশুনে ওখানে ভ্রষ্টাচরণ, নিষ্ক্রিয়তা, স্বজনপোষণ, এবং কর্মচারী-শিক্ষক নির্বিশেষে সর্বস্তরে দুর্নীতির প্রতিষ্ঠান – এগুলো স্থানীয় জনসাধারণের বহু প্রজন্মের শান্তিনিকেতনকে দেওয়া উপহার। 

আমার মতে শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতীকে ধাপে ধাপে ক্রমবর্ধমান সংশোধনী পরিমাপ দিয়ে ফিরিয়ে আনা যাবেনা । বিশ্বভারতী point-of-no-return পেরিয়ে গেছে। আবার জীবন্ত করতে গেলে, রবি ঠাকুরের কথা ‘আধমরাদের ঘা দিয়ে তুই বাঁচা’ মনে রেখে, একে কিছু বছরের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে সবাইকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা দরকার। ‍দরকার বর্তমান যুগের পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথের অঙ্কিত চিত্র অবলম্বন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়, অনন্যতা ও গন্তব্যস্থল কি হওয়া উচিত তা বিশ্লেষণ করে তার জন্য এক নতুন সংবিধান লেখা।  তার পর দরকার একে এক ধারাবাহিক পরীক্ষাস্থল মনে করে চালানোর চেষ্টা করা। রবীন্দ্রনাথের নিজের ভাষায় – ‘এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে’ এমন এক নীড় তৈরি করা প্রয়োজন যেখানে  – ‘ নির্বারিত স্রোতে দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায় অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়’। স্থানীয়রা রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে জায়গাকে একদল নীতিভ্রষ্ট, দুর্নীতিগ্রস্ত নাগরিক তৈরির কারখানায় পরিনত করেছে।

আমার উপরোক্ত অভিমত আমি চিঠি লিখে প্রধান মন্ত্রী মোদিকে ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলিকে পাঠিয়েছিলাম কয়েক বছর আগে – বিদ্যুত বাবুর আগমনের আগে। আমি ঔ চিঠির উত্তর পাইনি – তবে সন্দেহ হচ্ছে যে ওটা হয়তো বা দিল্লির নজর এড়ায়নি এবং এই মতের আরও সমর্থকও হয়তো দিল্লি সরকারের সংস্পর্শে আছে।

বিদ্যুত বাবু এক অগ্রদূত মাত্র – তিনি নীতি নির্ধারক নন। যারা পাঁচিলে বসে বিদ্যুত বাবুকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়তে ব্যস্ত, তারা যদি সত্যিকারের শান্তিনিকেতন দূষক ও ধ্বংসকারীদের সনাক্ত করতে চায়, তবে হিল্লি দিল্লি করতে হবেনা – হাতের কাছের আয়নায় তাকালেই চলবে।

শান্তনু মিত্র – ২১-৩-২০২১।